দেশে ফিরছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

সিলেট ব্যুরো :


ভারতে আটকের ৯ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহউদ্দিন মঙ্গলবার ট্রাভেল পাশ পেয়েছেন বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ জুন জারি করা এ ট্রাভেল পাশে তাকে ৩ মাসের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে বলা হলেও নানা আইনি জটিলতায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। সবশেষ সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পরই মঙ্গলবার তার ট্রাভেল পাস ইস্যু করে ভারতের গোয়াহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন। সেই ট্রাভেল পাসটি যুগান্তরের হাতে এসেছে।

দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, খুব শিঘ্রই তিনি দেশে ফিরবেন। এর আগে ভারতে গ্রেফতারের পর অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পান সালাহউদ্দিন। পাসপোর্ট না থাকায় তিনি দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন। প্রথম দফা ট্রাভেল পাস পান গত বছরের ৮ জুন।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সালাউদ্দিন মেঘালয় পুলিশকে বলেছিলেন, গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে কিছু লোক তাকে ঢাকার উত্তরার বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রায় রাতভর গাড়িতে যাওয়ার পর একটি এসইউভিতে করে তাকে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কারা তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলে তা বলতে পারেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেঘালয়ে গ্রেফতারের সময় তিনি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব পদে ছিলেন। ভারতের কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করে।